Saturday, April 15, 2017

কানাডায় অভিবাসনের নতুন সুযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার নামক এই কার্যক্রমের আওতায় ৫০ ক্যাটাগরিতে ভিসা দেবে দেশটি। চলতি মাসের শুরু থেকেই এই কর্মসূচীর অধীনে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম প্রায় ১ বছর পর্যন্ত চলবে। সারা পৃথিবী থেকে ২৫ হাজার প্রার্থী কানাডায় পাড়ি জমানোর সুযোগ পাবেন।আবেদনকারীর যোগ্যতা প্রমাণে কিছু শর্ত দিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। সবগুলো শর্ত পরিপালনের ক্ষেত্রে নাম্বার ধরা হয়েছে ১০০ পয়েন্ট। একজন আবেদনকারীর ন্যূনতম ৬৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। অর্থসূচকের এ রিপোর্ট থেকে আপনি মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার যোগ্যতা আর প্রাপ্য পয়েন্ট।
যে কেউ চাইলেই স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তার জন্য অবশ্যই তাকে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
  • পাঠকদের সুবিধার্থে অর্থসূচকের পক্ষ থেকে এই অবশ্য পূরণীয় শর্তগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হল : -
  • প্রার্থীর অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পেশায় এক বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে ১০ বছরের আগের অভিজ্ঞতা অযোগ্যতা বলে পরিগণিত হবে।
  • এই অভিজ্ঞতা অবশ্যই কানাডার জাতীয় পেশাগত শ্রেনীবিভাজনের আওতাধীন হতে হবে।
  • প্রার্থীকে অবশ্যই ইংরেজী অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ হতে হবে। এক্ষেত্রে ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য আইইএলটিএসের মতো আন্তর্জাতিক পরীক্ষার ফলাফল প্রমাণ হিসাবে দাখিল করা যাবে।
  • প্রার্থীর অবশ্যই ছয়টি সিলেকশন ফ্যাক্টরের ১০০ পয়েন্টের মধ্যে অবশ্যই ৬৭ থাকতে হবে। (এই বিষয়ে নিম্নে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে)।
  • প্রার্থীর কানাডায় নিজের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
  • প্রার্থীকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। কোনো ধরনের অপরাধমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে সম্পৃক্ততা অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।

সিলেকশন ফ্যাক্টর -
শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষার দক্ষতা, কাজের অভিজ্ঞতা, বয়স, কানাডায় চাকরি প্রস্তাব এবং অভিযোজ্যতা এই ছয়টি বিষয়কে সিলেকশন ফ্যাক্টর হিসেবে গণ্য করে কানাডা। এই ছয়টি ফ্যাক্টর অধীনের মোট ১০০ পয়েন্টের প্রেক্ষিতে প্রার্থীর যোগ্যতা বিচার করা হয়। এক্ষেত্রে ৬৭ নাম্বার পাওয়া যোগ্যতার প্রাথমিক শর্ত। বলতে গেলে এই সিলেকশন ফ্যাক্টরই কানাডায় আবেদনের প্রধান বিবেচ্য।
শিক্ষা-
শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে ডক্টরেটের জন্য ২৫, স্নাতকোত্তরের জন্য ২৩ ও অন্যান্য যোগ্যতার জন্য ক্রমানুসারে পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন সর্বনিম্ন সীমা নেই, তবে কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক থাকা বাধ্যতামূলক।
ভাষা-
ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ কানাডার দাপ্তরিক ভাষা। প্রার্থীকে এই দুই ভাষার যে কোন একটিতে বলা, পড়া, লেখা ও শোনার ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। ভাষার জন্য সিলেকশন কোটায় মোট ২৪ পয়েন্ট বরাদ্দ রয়েছে। প্রার্থীকে অবশ্যই এর মধ্যে ১৬ পয়েন্ট পেতে হবে।
কাজের অভিজ্ঞতা-
কাজের অভিজ্ঞতার জন্য সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৯ পয়েন্ট থাকা বাধ্যতামূলক বা কমপক্ষে ১ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স –
বয়সের জন্য মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ রেখেছে কানাডা। ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের জন্য ১২ পয়েন্ট এবং এর অধিক বয়সের ক্ষেত্রে প্রতি বছরের জন্য ১ পয়েন্ট করে বাদ দেওয়া হবে। বয়স ৪৭ এর বেশি হলে কোন পয়েন্ট প্রদান করা হবে না। তবে বয়সের ক্ষেত্রে পয়েন্ট পাওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
কানাডায় চাকরি প্রস্তাব-
কানাডায় পৌঁছানোর আগে প্রাপ্ত চাকরি প্রস্তাবের জন্য সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রার্থী বৈধ নিয়োগের জন্য ১০ পয়েন্ট এবং অভিযোজ্যতার কোটায় ৫ পয়েন্ট বোনাস পাবেন। তবে ভিসার আবেদনের জন্য চাকরির প্রস্তাব বাধ্যতামূলক নয়।
অভিযোজন ক্ষমতা-
কানাডায় গিয়ে প্রার্থীর অভিযোজন সম্ভাব্যতা বিচার করা হয় এই ক্যাটাগরির মাধ্যমে। আর এর জন্য মোট দশ পয়েন্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কানাডায় কাজের ১ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে পূর্ণ ১০ পয়েন্ট পাবেন। কানাডায় অধ্যয়নের ইতিহাস থাকলে পাবেন ৫ পয়েন্ট। এছাড়া স্বামী/স্ত্রী কিংবা পরিবারের কোন সদস্য কানাডায় অবস্থান করলে পাবেন ৫ পয়েন্ট।
এই শর্তগুলো পূরণ হলে যে কেউ চাইলে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে, আগে নিজের যোগ্যতা বিচার করে ভিসার জন্য আবেদন করুন।

Sunday, April 9, 2017

কানাডা যাবার সকল নিয়মাবলী

ম্যাপল পাতার দেশ কানাডা যেতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা আবশ্যক। বাংলাদেশে কানাডার ভিসা আবেদন কেন্দ্র সিভিএসি পরিচালনার কাজটি করে ভিএফএস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। একমাত্র কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্রকেই ভিসা আবেদন গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের সরকার। ভিসা আবেদনপত্র জমা নেয়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র বিতরণের কাজটিও কানাডার ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনে ভিসা সাক্ষাতকারের জন্য শিডিউলের ব্যবস্থা করে। কানাডার অভিবাসন ভিসা আইন ও গাইডলাইন অনুসারে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা ভিসা আবেদন নিষ্পত্তি করেন, ভিসা ইস্যু করা না করার ব্যাপারে সিভিএস বা কানাডার ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কোন ভূমিকা নেই।

ভিএফএস কানাডা ভিসা আবেদন কেন্দ্র
ঢাকা
৫ম তলা, ডেল্টা টাওয়ার, প্লট-৩৭, রোড-৯০,
গুলশান নর্থ, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম
বাড়ী নং-৩৮, চেম্বার হাউজ, ৫ম তলা
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম-৪১০০, বাংলাদেশ।
সিলেট
৮ম তলা, নির্বাণ ইন, মির্জা জঙ্গল রোড,
রামের দীঘির পাড়, সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
ওয়েবসাইটhttp://www.vfsglobal.ca/canada/bangladesh/

অফিস সময়:
  • সরকারি ছুটির দিন ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার খোলা থাকে।
  • সকাল ০৯:০০ থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকে।


আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময়: সকাল ০৯:০০ থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত।

পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়: বিকাল ০৩:০০ টা থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত।

হেল্প লাইন:
  • ফোন::+88 09606 777 888 (সকাল ০৯:০০ থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত)
  • ই-মেইল: info.canadabd@vfshelpline.com

(ই-মেইল বা এসএমএস-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করলে ব্যক্তিগত তথ্য না দেয়াই ভালো কারণ এ ধরনের বার্তা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। )

ভিসা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জানাতে নাম, যোগাযোগের ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ করে অভিযোগ পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে। এক কর্ম দিবসের মধ্যে প্রাপ্তিস্বীকার করা হয় এবং তিন দিনের মধ্যে পূর্ণ জবাব দেয়া হয়।

ট্যুরিস্ট ভিসা
বেড়াতে কিংবা পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করতে কানাডা যেতে ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

সন্তান-সন্ততি বা নাতি-নাতনীদের সাথে দেখা করতে
কানাডার নাগরিক এবং স্থায়ীভাবে  বসবাস করছে এমন সন্তান-সন্ততি বা নাতি-নাতনী থাকলে দু’বছর মেয়াদী প্যারেন্ট এন্ড গ্র্যান্ড প্যারেন্ট সুপার ভিসা দেয়া হয়।

ভিসার তথ্য
কানাডা ভ্রমণ বা বা কানাডা হয়ে অন্য দেশে যাওয়ার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা প্রয়োজন হবে। এদিকে ২০১৩ সালে থেকে কানাডা ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জন্য ছবির পাশাপাশি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসার নিয়মাবলী
  • বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে
  • কানাডা থাকা এবং সেখান থেকে ফেরার মত আর্থিক সচ্ছলতা আছে, এর প্রমাণ হিসেবে চাকরি, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পদ দেখাতে হবে।
  • মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকলে কানাডা প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়  না।
  • এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কানাডায় অবস্থানকারী কারো আবেদনপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
  • ব্যবসা বা পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে বারবার কানাডা যাওয়ার প্রয়োজন হলে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়া হয়।
  • কেবল একবার প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে।
  • বিমানের যাত্রা বিরতি বা ফ্লাইট বদলের জন্য ৪৮ ঘণ্টার কম সময় কানাডা অবস্থানের প্রয়োজন হলে ট্রানজিট ভিসা দেয়া হয়।
  • ভিসা আবেদনের সাথে একটি সাক্ষরিত কনসেন্ট ফর্ম বা সম্মতিপত্র দিতে হয়, এটি ছাড়া ভিএফএস ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ করা হয় না।
  • ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর একটি রসিদ দেয়া হয় এই রসিদে এটি ট্র্যাকিং নম্বর থাকে যেটি ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়।

পাসপোর্ট জমা দেয়া
আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর কানাডা সরকারের তরফ থেকে পাসপোর্ট জমা দেয়ার জন্য রিকোয়েস্ট লেটার পাঠানো হবে এই রিকোয়েস্ট লেটারসহ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আবেদনকারী নিজে অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ভিসা আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে পাসপোর্ট জমা দিতে পারে।

পাসপোর্ট সংগ্রহ:
আবেদনকারী নিজে গিয়ে অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেখে নিয়ে  কানাডার ভিসা অফিস থেকেও পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।

সার্ভিস চার্জ

সেবার ধরন
কানাডিয়ান ডলারে
(ভ্যাট সহ)
বাংলাদেশী টাকায়
(ভ্যাট সহ)
দরখাস্ত প্রক্রিয়াকরণ (প্রতি আবেদনকারীর জন্য)
৩৫.০১
২৪৪৭.২০

বায়োমেট্রিকসের জন্য ৮৫ কানাডিয়ান ডলার প্রয়োজন হয়। বায়োমেট্রিকস ফি দেয়ার ক্ষেত্রে আলাদাভাবে দরখাস্ত প্রক্রিয়াকরণ ফি জমা দিতে হয় না।

অন্যান্য সেবার জন্য সার্ভিস চার্জ
সেবার ধরন
কানাডিয়ান ডলারে
(ভ্যাট সহ)
বাংলাদেশী টাকায়
(ভ্যাট সহ)
ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কম্পিউটার টার্মিনাল ব্যবহার করে ফর্ম পূরণের জন্য
২.০৬
১৪৪
ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কর্মীদের সহায়তা নিয়ে কম্পিউটার টার্মিনাল ব্যবহার করে ফর্ম পূরণের জন্য
৩.০৯
২১৬
ফটোকপি (প্রতি পৃষ্ঠার জন্য)
০.১২
৮.৪০
ছবি তোলার জন্য
২.৫১
১৫০
এসএমএস নোটিফিকেশন
১.০০
৬৯.৯০
ব্যাংকিং সার্ভিস (জনপ্রতি)
৪.০১
২৮০.৩০
ভিসা সংক্রান্ত কাজে সিঙ্গাপুরের কানাডা হাই কমিশনে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে পাসপোর্ট পাঠানো
২৮.০১
১৯৫৭.৯০
ভিসা সংক্রান্ত কাজে সিঙ্গাপুরের কানাডা হাই কমিশনে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে পিআর পাসপোর্ট পাঠানো
৩১.১০
২১৭৩.৮৯
ভিসা সংক্রান্ত কাজে সিঙ্গাপুরের কানাডা হাই কমিশনে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে পিআর পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র পাঠানো
৩৬.১৮
২৫২৮.৯৮

সার্ভিস চার্জ জমা দেয়ার পদ্ধতি
কানাডার ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কেবলমাত্র নগদ টাকার মাধ্যমে এসব সেবা মাশুল জমা দেয়া যাবে। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংক গৃহীত হয় না।

ভিসা ফি জমা দেয়া
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে ভিসা আবেদন ফি জমা দেয়া যায়। এছাড়া ভিএফএস কেন্দ্রে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি বুথ রয়ছে সেখান থেকেও ব্যাংক ড্রাফট সংগ্রহ করা যায়। এজন্য সার্ভিস চার্জ হিসেবে ২৮০.৩০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। আবার কানাডার কোন ব্যাংক থেকেও “রিসিভার জেনারেল ফর কানাডা” বরাবরে কানাডিয়ান ডলারে  ব্যাংক ড্রাফট করে জমা দেয়া যায়।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়:
  • ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন ক্যামেরা, অডিও/ভিডিও ক্যাসেট, কম্প্যাক্ট ডিস্ক, এমপিথ্রি প্লেয়ার, ফ্লপি, ল্যাপটপ, পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ ভিসা আবেদন কেন্দ্র প্রবেশ নিষেধ।
  • ট্রাভেল ব্যাগ, ব্যাক প্যাক, ব্রিফকেস, স্যুটকেস, চামড়া, পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ইত্যাদি সাথে নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। কেবল ভিসা আবেদনপত্র নেয়ার জন্য একটি প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
  • সীল করা প্যাকেট বা এনভেলপ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা যায় না।
  • ম্যাচ বাক্স, লাইটার বা অন্য কোন দাহ্য বস্তু নিয়ে প্রবেশ করা যায় না।
  • ছুরি, কাঁচি জাতীয় ধারালো বস্তু এবং অস্ত্র বা বিস্ফোরকজাতীয় পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করা যায় না।
  • এসব ছাড়া আরও কোন সামগ্রী নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করলে সেটা নিয়ে প্রবেশে বাধা দেয়া হতে পারে।
  • আবেদনকারী ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশে অনুমতি দেয়া হয় না, তবে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য সাহায্যকারীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সাথে অনুবাদক প্রবেশ করতে পারে।
  • ভিসা আবেদন কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই সরকারি পরিচয়পত্র দেখাতে হবে, এটা পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড হতে পারে।
  • ব্যাগ বা যেসব জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না তা গেটে রেখে প্রবেশের কোন ব্যবস্থা নেই। সেগুলো নিজ দায়িত্বেই বাইরে রেখে প্রবেশ করতে হবে।

কানাডা যাবার আগে জেনে নিন

উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র কানাডা। এখন পর্যন্ত দেশটির অনেক এলাকা কার্যত মানবসভ্যতার স্পর্শের বাইরেই রয়ে গেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ দেশগুলোর একটি কানাডা। শুধু চাকরি, পড়াশোনা বা অভিবাসন নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্যও পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য এটি।

বিস্তীর্ণ স্থলভাগ, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার অনেক মিল। কিন্তু অমিলও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ ঐতিহ্য এড়িয়ে চলার প্রবণতা থাকলেও কানাডার লোকেরা ব্রিটিশ ঐতিহ্যের জন্য বেশ গর্ব করে। বিশেষ করে ইউরোপের দু’টি দেশ ব্রিটেন আর ফ্রান্সের অভিবাসীদের মাধ্যমে কানাডার ইতিহাস আর ঐতিহ্য যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে। ফরাসি এবং ইংরেজি দুটো ভাষাই প্রচলিত কানাডায়। বিশেষ করে কানাডার কুইবেক এবং নিউ বার্নসউইকের অধিবাসীরা প্রধানত ফরাসী ভাষায় কথা বলে। কাজেই যারা কানাডা যাওয়ার কথা ভাবছেন তাদের এই দু’টি ভাষার একটি অবশ্যই জানতে হবে।


বিশাল এই দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে তিন কোটি। দক্ষ কূটনীতি, মানবাধিকার মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিরক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বিশ্ব মঞ্চে বেশ প্রভাবশালী দেশ কানাডা। কানাডার মানুষের জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত, মানবাধিকার মূল্যবোধের সুরক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, নাগরিক অধিকার রক্ষা প্রভৃতি সূচকে সব সময়ই প্রথম সারির দেশ কানাডা।

স্থানীয় সময়
প্রায় এক কোটি বর্গ মাইলের বিশাল দেশ হওয়ায় একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যবস্থা অনুসরণ না করে মোট ছয়টি সময় এলাকা বা টাইম জোনে ভাগ করা হয়েছে কানাডাকে। গ্রিনিচ মান সময় থেকে কানাডার স্থানীয় সময় সাড়ে তিন ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত পিছিয়ে থাকতে পারে। এছাড়া গ্রীষ্মে এখানকার ঘড়ি এক ঘণ্টা এগিয়ে নেয়া হয়।

সংক্ষিপ্ত তথ্য:
রাজধানী: অটোয়া
সবচেয়ে বড় শহর: টরেন্টো
অফিসিয়াল ভাষা: ইংরেজি এবং ফরাসি, এছাড়া আরও কয়েকটি ভাষাকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
আয়তন: ৯৯,৮৪,৬৭০ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা: ৩,৫৬,৭৫,৮৩৪ (২০১৪ সালের হিসাব)
মুদ্রা: কানাডীয় ডলার(CAD)
মুদ্রা বিনিময় হার: ১ কানাডীয় ডলার = ৬২ বাংলাদেশি টাকা (প্রায়) মার্চ ২০১৫ এর তথ্য
আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড: +১
ইমার্জেন্সি ডায়াল: ৯১১
ইন্টারনেটে কান্ট্রি ডোমেইন: .ca
বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা: ১২০ ভোল্ট, ৬০ হার্জ (টাইপ ‘এ’ প্লাগ)
ধর্ম:
রোমান ক্যাথলিক ৩৮.৭%
প্রটেস্টান্ট ১৭%
কোন ধর্মে বিশ্বাস করেন না: ২৩.৯%
অন্যান্য ১০%
পরিমাপ পদ্ধতি:
কানাডায় মেট্রিক পদ্ধতি চালু হলেও বয়স্কদের মধ্যে এখনো পুরনো ব্রিটিশ পদ্ধতির ব্যবহার দেখা যায়। তাদের মধ্যে ফুট, মাইল প্রভৃতি এককের ব্যবহার দেখা যায়। এছাড়া অনেকেই তাপমাত্রা বোঝাতে এখনো ফারেনহাইট একক ব্যবহার করেন। অবশ্য আবহাওয়া বার্তায় সেলসিয়াস এককই ব্যবহার করা হয়। তবে নায়াগ্রার মত কিছু সীমান্ত এলাকায় ফারেনহাইট এককে আবহাওয়া বার্তা দেয়া হয়।

কানাডার আবহাওয়া:
বিশাল দেশ হওয়ায় কানাডার আবহাওয়া সম্পর্কে এক বাক্যে বলা কঠিন। দেশটির অধিকাংশ এলাকায় শীতকালটা বেশ কঠিন। কিছু কিছু এলাকায় জুলাই আগস্টেও গড় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত হয়। কিন্তু দক্ষিণ অন্টারিও’র মত জনবহুল জায়গাগুলোতে আবহাওয়া কিছুটা সহনীয়। আবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় শীতকালের তাপমাত্রাও হিমাঙ্কের ওপরে থাকে।
কানাডার অধিকাংশ শহরাঞ্চল যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। কাজেই শীতকাল ছাড়া কানাডার শহরগুলোয় বেড়াতে গেলে তুষার ঝড়ের মত প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে হবে না। কানাডার জনবহুল এলাকাগুলোতে গ্রীষ্মকালটা বেশ সংক্ষিপ্ত হয়। টরেন্টো, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভৃতি এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

নিজেই করুন কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা

কানাডায় বর্তমানে ছাত্রদের জন্য বেশ ভালো সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই কারনে সেখানে যাওয়ার জন্য ছাত্রদের লাইন ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে।কানাডায় যাওয়া সবসময় কঠিন ছিলো। কয়েকটি কারনে কানাডাতে সব ধরনের ভিসা পেতে বেশ দেরি হতো। যেমন আপনি বাংলাদেশে যদি ভিসার জন্য আবেদন করতেন সেই আবেদন পাঠানো হতো সিঙ্গাপুরে অবস্থিত কনসুলেটে। কনসুলেট সেই আবেদন পাঠাতো কানাডাতে। এভাবে কেটে যেতে মাসের পর মাস। বর্তমানে সিঙ্গাপুর থেকেই ভিসা ডিসিশন নেয়া হচ্ছে তাই বেশ অল্প সময়েই ডিসিশন পেয়ে যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রী আর ইমিগ্রেশন প্রার্থীরা। আগে যেখানে একজন স্টুডেন্ট চার থেকে পাঁচ মাস অপেক্ষা করতো সেখানে দেড় মাস সময়ের মধ্যেই একটি সিদ্ধান্ত পেয়ে যেতে পারে।
অন্যদের চেয়ে আলাদা স্টাইলে কাজ করি আমরা। আগে যেখানে আমরা বলতে কানাডায় কাজ করতেই চাইতামনা, এখন আমরা আমাদের সাথে সংশিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের ফোন দিয়ে আসতে বলেছি এবং তাদেরকে সুজোগ সুবিধাগুলো জানাচ্ছি। বর্তমানে আমরা কনট্রাকট বেসিসে কাজ করছি কানাডার ব্যপারে। ছাত্র ছাত্রীদের যদি IELTS এ 5.5 থাকে তবে আমরা  সব কাজ করবো PAYMENT AFTER VISA বেসিসে। ভিসার পরে আমাদের দিতে হবে ১৩ লাখ টাকা। এই টাকা ভিসা পাওয়া পর্যন্ত সব খরচ এবং এক বছরের কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির পড়াশোনার খরচ। এর মধ্যে বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত নেই। যদি আপনার IELTS এ 5.5 থাকে তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ০১৭৭২৩৬৯৪৫১ নাম্বারে।

কানাডার ভিসার নিয়মাবলী

(পুন: সংক্ষেপিত ভার্সন) প্রতিবছর ৩৫ মিলিয়নের অধিক লোক কানাডা ভ্রমণ করতে যায়। মূলত কানাডা প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ পরিবার পরিজন ও বন্ধ-বান্ধবদের সাথে দেখা করতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোক সেখানে গমন করে।

সাধারণত পর্যটক, সন্তান অথবা নাতী-নাতনীর সাথে দেখা করা, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য, অবস্থানের সময়সীমা বৃদ্ধি, কানাডার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ (ট্রানজিট ভিসা, এজন্য ফি লাগে না) ইত্যাদি কারণে অনেকেই কানাডা গিয়ে থাকেন। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক, এজন্য লাগবে ভিসা।

প্রথম ধাপ: ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালের পর ১৪ থেকে ৭৯ বছর বয়সী বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা আবেদনের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হয়।

দ্বিতীয় ধাপ: ভিসা আবেদন কোন কোন বিষয়ে করা যাবে সে সম্পর্কে জানতে লিংকটিতে যান:http://www.canadainternational.gc.ca/singapore-singapour/visa.aspx?lang=eng&menu_id=4

তৃতীয় ধাপ: এখনhttp://www.cic.gc.ca/english/information/applications/index.asp লিংকটিতে গিয়ে যে বিষয়ে ভিসার আবেদন করবেন সেই ফরমটি বেছে নিবেন। ফরমটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করে পূরণ করবেন। পূরণকৃত ফরমটি প্রিন্ট করবেন।

আপনার আবেদন ফরমটির শেষ পৃষ্ঠায় বারকোড আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। বারকোডযুক্ত পেইজটি সকল ফরমের উপরে যুক্ত করবেন। বারকোড পরিষ্কার রাখবেন, বিকৃত, অস্পষ্ট ও নোংরা করবেন না।
ফরমটি ভাল মানের কাগজে প্রিন্ট করবেন। সম্ভব হলে লেজার প্রিন্টারে প্রিন্ট করবেন।
সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন কানাডা (CIC) এ যে সকল কাগজপত্র চায় সেগুলো দিতে না পারলে ওয়েভার ফরম বা মওকুফের ফরম পূরণ করে সাইন করবেন। ওয়েভার ফরম পেতে ক্লিক করুন:http://www.vfsglobal.ca/canada/bangladesh/pdf/Waiver_Form_291015.pdf

চতুর্থ ধাপ: গোপণীয়তা নীতি জানতে ও VFS consent form পেতে ক্লিক করুন:http://www.vfsglobal.ca/canada/bangladesh/pdf/vfs_consent_form.pdf
এই ফরমটি পূরণ করে অবশ্যই আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করবেন। অন্যথায় আপনার আবেদনপত্রটি গৃহিত হবে না!

পঞ্চম ধাপ: ভিসা ফি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফি (Biometric fee) প্রদান করতে লিংকটিতে ক্লিক করুন:http://www.cic.gc.ca/english/information/fees/index.asp
ফি প্রদানের রসিদ অবশ্যই প্রিন্ট করে আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করবেন।

ষষ্ঠ ধাপ: এখন পাসপোর্ট, ছবি, আবেদনপত্র, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ নিকটস্থ Canada Visa application centre (CVAC) in Bangladesh যাবেন। সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। সার্ভিস চার্জ সংক্রান্ত বিস্তারিত দেখুন:http://www.vfsglobal.ca/canada/bangladesh/Service_and_Service_Charge.html

সপ্তম ধাপ: আবেদনপত্র প্রদান করে রসিদ নিবেন। রসিদে ট্রাকিং নম্বর থাকবে। নম্বরটি অনলাইনে আবেদনপত্রের অবস্থা জানার জন্য লাগবে।

আবেদনপত্র জমাদানের পর তার অবস্থা জানতে ভিজিট করুন:http://www.vfsglobal.ca/canada/bangladesh/track_your_application.html. ট্রাকিং নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

প্রদত্ত লিংকগুলিতে প্রবেশ করে প্রতিটি বিষয় ধৈর্যসহ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। প্রতিটি ধাপ আস্তে আস্তে অতিক্রম করবেন। নিয়মগুলো ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। অন্যথায় ভুল হতে পারে। আর ভুল হলে আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে।

Total Pageviews

ইংরেজী অফার

ভিসা অফার

Popular Posts

Recent Posts

Powered by Blogger.

Search This Blog

Definition List

Theme Support

Ordered List