Sunday, April 9, 2017

পড়াশোনার পাঠ চুকিয়েই পেশাজীবির খাতায় নাম লেখাচ্ছেন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী, অর্থাৎ পড়াশোনা শেষেই চাকরি! এমন দেশের উদাহরণ দিতে গেলে প্রথম সারিতেই আসবে ‘কানাডা’। বিশ্বমানের পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ থাকায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ প্রতি বছরই পাড়ি দিচ্ছে কানাডায়। বর্তমানে কানাডা সরকার তাদের বৈদেশিক নীতি কিছুটা শিথিল করতে যাচ্ছে। আগের মতো সিঙ্গাপুর থেকেই ভিসার ডিসিশন যদিও আসবে তারপরও কিছুটা শীথিলতার কারনে আগের চেয়ে বেশীসংখ্যক ছাত্রছাত্রী ভিসা পেতে পারে।

আবেদন যেভাবে:
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে সেশন শুরুর অনেক আগেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি অফিস’ সেশন শুরুর এক বছর আগেই আবেদনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দেখা যায় যে আপনি যদি জানুয়ারী সেমিস্টারে ভর্তি হতে চান তবে আপনাকে অকটোবরের দিকে পেপার প্রসেস শুরু করতে হবে। সেপ্টেম্বরের জন্য শুরু করতে হবে জুনের দিকে। কানাডায় পড়াশোনা করা যায় দুই ভাষায়−ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ। ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা করতে চাইলে টোফেল স্কোর (আইবিটি) থাকতে হবে ৭৫, আইইএলটিএস-এর ক্ষেত্রে অন্তত ৬.০। পাশাপাশি ভালো একাডেমিক ফলাফল এবং আর্থিক সচ্ছতার নির্ভেজাল কাগজপত্রও থাকতে হবে।

অফার লেটার পেলেই ভিসা আবেদন:
অফার লেটার পাওয়ার পর আবেদন করতে হবে ভিসা বা স্টাডি পারমিটের জন্য। ভিসা পেতে বাংলাদেশে কানাডার দূতাবাস অনুমদিত ভিসা সেন্টারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি জমা দিতে হবে। ঠিকানা: ভিএফএস কানাডা অ্যাপলিকেশন সেন্টার, তাজ ক্যাসিলিনা, ৩সি, তৃতীয় তলা, ২৫ গুলশান অ্যাভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২। ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও চট্রগ্রামে আছে এ ভিসা সেন্টার।


ভিসা আবেদনের ফরম সংগ্রহ করতে কিংবা ভিসা আবেদনের তথ্য জানতে ভিজিট করুন এ সাইটে− www.vfs-canada.com.bd । ‘স্টুডেন্ট ভিসা’র জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-ফিসহ আবেদন জমা দেয়ার পর এ সাইট থেকে আবেদন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অবস্থাও জানা যাবে। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে পেশাগত কারনে এই পেপার প্রসেসের সাথে যুক্ত তাদের দ্বারা আপনার প্রসেসিং করানোটাই যুক্তিযুক্ত হবে কেননা আপনি হয়তঃ ভালো ইংরেজী জানেন কিন্তু যারা দীর্ঘদিন এসব করে আসছেন তাদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই আপনার চেয়ে অনেক বেশী। তাই আমেরিকা বা কানাডার মতো দেশের বেলায় নিজে নিজে অগ্রসর না হওয়াটাই ভালো।

স্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে খরচও ভিন্ন:
কানাডায় টিউশন ফি কত হবে, তা নির্ভর করে স্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ার ভিন্নতার ওপর। ব্যাচেলর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে বিষয়ভেদে ছয় হাজার থেকে দশ হাজার কানাডিয়ান ডলার খরচ হয় বছরে। অন্যদিকে দুই হাজার থেকে সাত হাজার কানাডিয়ান ডলার হলেই মাস্টার্সের অনেক প্রোগ্রামে পড়াশোনা করা যায় অনায়াসে। প্রসঙ্গত, ১ কানাডিয়ান ডলার প্রায় ৮২ টাকার সমান। অন্যান্য দেশের মতো কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা ২০ ঘন্টা খন্ডকালীন কাজের সুযোগ পায়, তবে এর আগে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়।

বিঃদ্রঃ আপনার যদি IELTS এ ৫.৫ থেকে থাকে তবে আমি আপনার পুরো পেপার প্রসেস করে দেবো। সেক্ষেত্রে ভিসা হবার সম্ভাবনা ৯৫%।

0 comments:

Post a Comment

Total Pageviews

ইংরেজী অফার

ভিসা অফার

Popular Posts

Recent Posts

Powered by Blogger.

Search This Blog

Definition List

Theme Support

Ordered List